বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
করোনার দাপটে সারাদেশের মত বেনাপোলেও কিন্ডার গার্টেন স্কুল গুলো চরম বিপর্যয়ে নিপতিত হয়েছে। আর এটা হওয়ার প্রধানতম কারন দীর্ঘ দিন যাবৎ বিদ্যালয় বন্ধ থাকা। যতদুর জানা যায় এই সব স্কুল গুলোর অধিকাংশ চলছে ভাড়া করা বাড়িতে। নিজস্ব ভবন কম কিন্ডার গার্টেন এর আছে। প্রকৃত পক্ষে এই সকল বিদ্যালয়ে পাঠ রত শিক্ষার্থীদের দেওয়া মাসিক বেতন সহ অন্যান্য আদায়কৃত ফি থেকে ভবন ভাড়া বিদ্যুৎ বিল শিক্ষকদের বেতন এবং অন্যান্য খরচাদী ব্যায় বহন করা হয়। করোনা কালে এই দীর্ঘ সময়ে এসব কিন্ডার গার্টেন স্কুল বন্ধ থাকার কারনে অনেকেরই ভবন ছাড়তে হচ্ছে ভাড়া দিতে ব্যার্থ হওয়ার কারনে। এমনকি অনেক শিক্ষক এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে ব্যার্থ হচ্ছে। অনেকে উপায়ন্তর না পেয়ে ভিক্ষার হাতও বাড়াচ্ছে। এরকম চরম দুরবস্থার মধ্যে আবার অনেকেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি চুড়ান্ত পরীক্ষার খাতা পত্র পাঠাচ্ছে। এবং বার্ষিক বকেয়া সকল অর্থ দাবি করছে।
এহেন দুরবস্থা সম্পর্কে বেনাপোল এর সানরাইজ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামুল হক এই প্রতিবেদকের কাছে বলেন, প্রকৃত অবস্থা হলো দীর্ঘ দিন কিন্ডার গার্টেন স্কুল গুলো বন্ধ থাকার কারনে সামগ্রীক যে বিপর্যয় চলছে সে বিষয় গুলো এখন মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। বেনাপোল এর রেসিডেন্সিয়াল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম উদ্ভুত্ব পরিস্থিতিতে উপায়ন্তর না পেয়ে শিক্ষকরা নেহায়েত বাঁচার তাগিদে শিক্ষর্াীদের বাড়ি বাড়ি খাতা পাঠাচ্ছেন। এব্যাপারে একজন অভিভাবক শওকত হোসেন বলেন,গত মার্চ মাস থেকে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস বন্ধ। লেখা পড়া না করিয়ে এ ভাবে বাড়ি বাড়ি খাতা পাঠিয়ে পরীক্ষা নেওয়া এবং ফলাফল প্রদান করা কতটুকু যৌক্তিক হবে সেটা ভাবতে হবে।
এ সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক কবি আলতাফ চৌধুরী বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযোদ্ধার অঙ্গীকার ছিল সমগ্র দেশে একক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন থাকবে। একদিকে সরকারী অবৈতনিক বিদ্যালয় আর এক দিকে উচ্চ বেতন হারের কিন্টার গার্টেন । এই বৈষম্যের শিক্ষা ব্যবস্থা আছে বলেই আজকে শিক্ষার্থীদের এই চরম বিপত্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। একক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকলে আমার বিশ্বাস এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা সহজ হতো।