নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকায় চিন্তাহরন মন্ডলের ছেলে সঞ্জীত মন্ডলের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও তার নাবালিক মেয়ে অপরা মন্ডল (১১) কে অপহরণের চেস্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে মোঃ অপু মিয়া গং-দের বিরুদ্ধে । উক্ত ঘটনায় বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভোক্তভোগী সঞ্জীত মন্ডল। তদন্ত শুরু করেছে বন্দর থানা পুলিশ। অভিযোগটি হুবুহু তুলে ধরা হল…
বরাবর,
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
বন্দর থানা
নারায়ণগঞ্জ।
বিষয় ঃ অভিযোগ প্রসঙ্গে।
মহোদয়,
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক নিবেদন এই যে, আমি সঞ্জিত মন্ডল (৫১), পিতা- মৃত: চিন্তাহরন মন্ডল, সাং- রূপালী আবাসিক এলাকা (রুকন উদ্দিন এর বাড়ী), থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। এই মর্মে আপনার থানায় উপস্থিত হইয়া অভিযোগ করিতেছি যে, আমার বড় মেয়ে অপরা মন্ডল (১১) বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। বিগত ০৩(তিন) মাস পূর্ব হইতে বিবাদী ১। মোঃ অপু মিয়া (২২), পিতা- আনোয়ার মিয়া(আনু), সাং-রূপালী আবাসিক এলাকা (ক্যামব্রিজ স্কুলের পশ্চিম পাশ্বে ছোট মাঠ সংলগ্ন) আমার মেয়ে স্কুলে যাতায়াতকালে প্রায়ই সময় সে ও তার বন্ধুবান্ধবের দ্বারা ইভটিজিং এর স্বীকার হয়, এর মাত্রা যখন অসহনীয় হয়ে উঠে তখন আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে অবগত করিলে আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও ছেলের অভিভাবকদের জানাইলে ভবিষ্যতে সে আর এমন কাজ করিবেনা বলিয়া তাহারা আমাকে আশস্ত করে। তারপর কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর পূনরায় উপরোক্ত ১নং বিবাদী আরো অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়ীতে গিয়ে জানালা দিয়ে বিভিন্ন অসভ্য আচরণ ও গালিগালাজ করিতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫/০৫/২০২০ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকায় আমার ঘরের দরজার সামনে আসিয়া আমার মেয়েকে আবারো উত্যক্ত করে এবং তাতে আমার স্ত্রী ও আমি বাঁধা দিলে সে ও তার দলবল ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া বলে যে তোর মেয়ে কিভাবে স্কুলে যায় আমি দেখে নিব, ভবিষ্যতে তুই ও তোর পরিবার আমাদেরকে কোন প্রকার বাঁধা দিলে অথবা এই বিষয়ে কোথাও নালিশ করিলে তোদের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হইব বলিয়া আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চলিয়া যায়। তারই ফলশ্রুতিতে গত ১৯/০৫/২০২০ ইং তারিখে আনুমানিক বিকাল ৫.৩০ ঘটিকার সময় আমি নারায়ণগঞ্জ সদরের ১নং রেল গেইট এর পাশে আমার ব্যবসায়ী কাজে অবস্থান করার সময় হঠাৎ ১নং বিবাদী ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী প্রকৃতির ৬-৭ জন লোক আমাকে পিছন থেকে গালিগালাজ করতে করতে আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেস্টা করলে, আমি তাতে বাধাঁ দিয়ে তাহাদের এহেন কর্মের প্রতিবাদ করি এবং ১নং বিবাদীর বাম হাত ধরিয়া পুলিশ পুলিশ বলে চিৎকার করিলে ১নং বিবাদী আমার হাত থেকে ছুটার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে তার পকেটে থাকা ধারালো ছুরি দ্বারা ডান হাতে আমার বাম হাত রক্তাক্ত ও জখম করে। তাতে আমি আর্তচিৎকার করিলে তাহারা আমাকে ছাড়িয়া দিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল হতে প্রস্থান করে। পরে আমি ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেল একই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৮ ঘটিকায় আবারো ১নং বিবাদী অপু মিয়া ২। রমিজ মিয়া (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, ৩। আমেনা বেগম(৪৫), স্বামী- রমিজ মিয়া সহ আরো ১০-১২ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়া আমার বসত ঘরে ঢুকিয়া আমার মেয়ে অপরা মন্ডলকে তার মায়ের কাছ হতে জোরপূর্বক টানা হেচড়া করিয়া অপহরণের চেষ্টা চালায়, তাহাতে আমার স্ত্রী শিখা মন্ডল বাঁধা দিলে ১, ২ ও ৩ নং বিবাদী তাহাকে কিল-ঘুষি মারিয়া আহত করে। পরে আত্মরক্ষায় আমার স্ত্রী ও মেয়ে আর্তচিৎকার করিলে তাহাদের ছাড়িয়া দিয়া বিবাদীগন ঘটনাস্থল হতে দ্রুত প্রস্থান করে। এমতাবস্থায় বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার বিবাদীগন ও অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের ভয়ে চরম আতংক ও নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছি। বিবাদীপক্ষ অত্যান্ত ধুরন্দর ও দুষ্ট প্রকৃতির হওয়ায় তাহারা আমাদের কখন যে কি করিয়া ফেলে তাহা বলা যায়না।
অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত বিষয়টি অভিযোগ হিসেবে গ্রহন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহোদয়ের সুমর্জি হয়।
তারিখ : ২০/০৫/২০২০ ইং।
বিনীত,
সঞ্জিত মন্ডল
Please follow and like us: