মোটর সাইকেলে ফেনসিডিল সহ একজনকে আটক করে আসামিকে মামলা দিয়ে চালান দিয়ে মোটর সাইকেল জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন বিজিবি সদস্যর বিরুদ্ধে। গত ৩০ অক্টোবর ইমরান হোসেন রনি (২০) নামে একজন ফেনসিডিল সেবনকারী যুবককে গাতিপাড়া বিজিবি চেকপোষ্ট থেকে একটি এ্যাপাসি মোটর সাইকেল ও ২ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করে বিজিবি। এরপর ওই যুবককে ১ নভেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানায় ৫ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয় । চালানের ১৮ দিন পর জামিন পেয়ে সে তার মোটর সাইকেল এর ব্যাপারে যোগাযোগ করে দেখে গাড়িটি থানায় জমা দেওয়া হয়নি। গাড়িটি বিজিবির কোন এক সদস্যকে চালাতে দেখেছে বলে তার অভিযোগ করে। অভিযোগটি বেনাপোল সদর ক্যাম্পের বিজিবির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগি ইমরান হোসেন রনি ( পিতা ঃ রফিকুল ইসলাম, শামলা গাছি, শার্শা ) বলে আমি গত ৩০ অক্টোবর বেনাপোল এর গাতিপাড়া থেকে আসার সময় ওই গ্রামের একটি বিজিবি পোষ্টে আমাকে তল্লাশি করে দুই বোতল ফেনসিডিল পায়। আমাকে বিজিবি সদস্যরা গাতিপাড়া পোষ্ট থেকে গাড়িতে করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে এবং আমার হলুদ রংয়ের একটি এ্যাপাসি আর টি আর মোটর সাইকেল ওই পোষ্টে রেখে দেয়। এ সময় বিজিবি সদস্য নায়েক বাবুল বলে তোর মোটর সাইকেলটি আমার পছন্দ আমি খেয়ে ফেলব। আমি এরপর জেল খানা থেকে ১৮ দিন পর জামিন পেয়ে বাড়ি এসে মোটর সাইকেলের সন্ধ্যান করি এবং বিজিবি সদস্য বাবুলকে ফোন করি তার ০১৬৪৭-৮১১৪১৩ নাম্বারে। তখন তিনি কোন উত্তর দেয় না। পরে ওই নাম্বার থেকে ফোন করে বলে এ বিষয় নিয়ে বেশী ঘেটা ঘেটি করিস না। তবে ইমারান একজন ফেনসিডিল সেবন কারি বলে নিজে স্বীকার করে।
ঘটনার সময় উপস্থিত শিমুল নামে এক যুবক তার একটি ভিডিও সাক্ষাতে বলেছে রনির কাছে একটি এ্যাপাসি গাড়ি ছিল। সে গাতিপাড়ায় একটি হলুদ রংয়ের গাড়ি এবং ফেনসিডিল সহ আটক হয়।
এ ব্যাপার নায়েক মোঃ নাজমুল হোসেনকে তার ০১৫০২৪১৪০০ ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গাড়ি চালক। আমি ওই আসামিকে গাড়িতে নিয়ে আসি মোটর সাইকেল অন্য কেউ নিয়ে এসেছে। টহল কমান্ডার বলতে পারবে গাড়ি কি হয়েছে । ওই জায়গায় ডিউটিরত নায়েক জাহাঙ্গীরকে তার ০১৩১৩৮৩৮১৬৮ নাম্বারে ফোন দিলে তিনি বলেন তার কাছে কোন মটর সাইকেল ছিল না আমাকে এ বিষয়ে ফোন দিবেন না। নায়েক বাবুল এর ০১৬৪৭-৮১১৪১৩ নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নাই। বেনাপোল ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হারাধন বাবুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ওই সময় এখানে ছিলাম না। বিষয়টি জেনে আপনাকে রাত্রে জানাব।
ভুক্তভোগির পিতা রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বিষয়টি ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লে, কর্নেল সেলিম রেজাকে অবহিত করেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লে, কর্নেল সেলিম রেজাকে ফোন করলে তিনি বলেন বিজিবি এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। তারপর আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে জানাব। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই আসামির সাথে কোন মটর সাইকেলের মামলা হয়নি। এবং থানায় কোন মটর সাইকেল জমা হয়নি।