শাহিনুর আহমেদঃ একজন মরিয়ম তার বেঁচে থাকার আকুতি এবং ন্যায় বিচার দাবীর তথ্য সকলকে জানানোর জন্য BDC News কে আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন, “আমি মোসাম্মত মরিয়ম, পিতাঃ মাহাবুবুর রহমান, মাতাঃ রোকসানা বেগম, গ্রামঃ মহিসমারি, ইউনিয়নঃ রমজানপুর, থানাঃ কালকিনি, জেলাঃ মাদারিপুর। স্বামীঃ মিনহাজুল ইসলাম মিরাজ, পিতাঃ মোঃ হারুনার রশিদ, মাতাঃ মোছাঃ নার্গিস বেগম, গ্রামঃ তল্লাবাড়িয়া, পোঃ বিনোদনপুর, থানাঃ মোহাম্মদপুর, জেলাঃ মাগুরা।
আমার বান্ধবীকে মিরাজ এর কলিগ দেখতে এসে মিরাজের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এরপর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের পর আমার ১৮ বৎসর পূর্ণ হলে আমরা বিয়ে করি। (ছবি সংযুক্ত)
আমি আমার মায়ের কাছে বিয়ের কথা চিঠিতে জানিয়ে মাগুরা চলে আসি। মাগুরায় কোর্ট এবং কাজী অফিসে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আমার বিয়ের তথ্য, আমি ১৮ বৎসর পুর্ণ করেছি তার (বয়সের) তথ্য, আমার কাজী অফিসের বিয়ের তথ্য, আমার বিয়ের কোর্ট ম্যারিজ এর তথ্য, (ছবি সংযুক্ত)
আমার পিতা মাতা প্রথম পর্যায়ে বিয়ে মেনে নেয়, কিন্তু পরে আমার চাচাদের অত্যচারে পরে মেনে নেয় না এবং চাচারা আমার স্বামী জনাব মিনহাজুল ইসলাম মিরাজ এর নামে একটি অপহরণ মামলা দেয়।
আমাদের বিয়ের পরদিনই আমাদেরকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যায় এবং তারপরদিন মিরাজকে মোহাম্মদপুর থানায় রেখে আমাকে মাগুরা থানায় নিয়ে যায়। মাগুরা থানা থেকে আমার বাবা এবং কাকারা প্রভাবশালীদের দিয়ে থানা থেকে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। আমাকে নিয়ে অনেক অত্যাচার করে। বিশেষ করে আফজাল কাকা মোবাইল নম্বর-০১৭১৩-০৪৯৯৮৬ থেকে আমাকে এবং আমার স্বামীকে মাগুরাতে অবস্থান করে প্রভাবশালীদেরকে দিয়ে আমাদেরকে অত্যাচার করে। সবসময় আমাকে ভাতের মধ্যে বিশ খায়িয়ে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। আমাকে আমার স্বামীর কাছ থেকে ফাসিয়ে দিবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নেয় এবং আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় যে, আমার এবং আমার বাবা মা কিংবা ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য আমার স্বামী দায়ী। আমি যখন এটা জানতে পারি তখন আমি মাগুরায় চলে আসি।
তারপর আমার বাবা, মা এবং চাচারা আমার শশুর শাশুড়ীর উপর অনেক অত্যাচার করে। আমার স্বামীকে মিথ্যা অপহরন মামলা দায়ের করে। এজন্য আমদের এখন বিভিন্ন যায়গায় পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের জীবনে কোন স্বাধীনতা নাই, আমি ১৮ বছর পুর্ণ করেছি তারপর আমার কোন স্বাধীনতা নেই? আমাদের ভীতির মধ্যে চলতে হচ্ছে। এখন আমার শশুর শাশুড়ীর সাথেও সম্পর্ক নাই, আমাদের দিন এখন খেয়ে না চলছে। এরপরও মাগুরার প্রভাবশালী লোক দিয়ে আমাদেরকে সব সময় ট্র্যাক করছে।
আমরা সবসময় একটা আতংকের মধ্যে থাকি। আমার স্বামীর ফোন ট্র্যাকিং করে আমার কাকা মোঃ শাহাবুদ্দিন (মোবাইল নং-০১৭৬৫-৮৩৩০৬২) তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এডি হিসেবে কর্মরত। তিনি আমাদেরকে যেখানেই যে অবস্থায় থাকিনা কেন প্রভাবশালী লোক দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে এবং হুমকি দেয় যে, আমার স্বামীকে মেরে আমাকে নিয়ে যাবে। আমাদের উপর অনেক অত্যাচার জুলুম চলছে। এই মুহুর্তে আমার শশুর শাশুড়ীর সাথে কোন সম্পর্ক নাই। আমাদের জীবন খুবই কষ্টের মধ্যে চলছে।
মাগুরার এস পি স্যার, ডিসি স্যার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনারা খুব ভালো। আপনারা সবাইকে খুব সাহায্য করেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাদের দিকে একটু তাকান, একটু সাহায্য ও বাঁচার ব্যবস্থা করেন। আমাদের নামে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা উঠিয়ে দেয়ার জন্য ওসি এবং ডিসি স্যার আপনাদের কাছে বিনিত অনুরোধ রইল।”
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে এবং তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন মরিয়ম এর পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ মামলা করেছে কিন্তু মরিয়ম সাবালিকা এবং তার নিজের ইচ্ছাতে এবং কোর্ট এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সেহেতু মরিয়ম কোর্টে আবেদন করতে পারেন এই মামলা নিস্পত্তি করার জন্য।
অদ্য ২২.০৫.২০২০ইং আমার শশুর জনাব মোঃ হারুন অর রশিদ, উপ পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা, মাগুরা অফিসের এর একজন সরকারী কর্মচারি, আমার সাথে আমার স্বামী মিরাজের বিয়ের কথা উল্লেখ পুর্বক শশুরকে আমার বাবা এবং চাচারা মোঃ আফজাল, সাহাবুদ্দিন, ফজলুল হক, সিরাজুল ওনাকে অফিসে যেতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এমনকি আমার শশুরকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এই মর্মে মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন (ছবি নিচে প্রদত্ত), যার জিডি নং-১০২৯, তারিখঃ ২২/০৫/২০২০ইং।
সাধারন ডায়রি বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ওসি মহোদয়ের সাথে আমাদের প্রতিনিধির কথা হলে তিনি জানান, সাধারন ডায়রি হয়েছে এ ব্যাপারে তিনি অবগত এবং বিষয়টি দেখবেন।