একটা হত্যাকন্ডে আতঙ্কের জনপদে পরিনত হয়েছে নড়াইলের কলাবাড়িয়া গ্রাম। গোষ্ঠিগত দ্ব›েদ্ব মঙ্গলবার (১০নভেম্বর) নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকায় রায়হান ফকির রানা নামে এক যুবক নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়ার হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কলাবাড়িয়া, মুলখানা গ্রামে প্রতিপক্ষ ১৫টি পরিবারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফেলে এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ, হত্যা ও হামলাসহ চলমান সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১২জনকে আটক করেছে।
ভূক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, এলাকার অধিপত্য নিয়ে কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান কায়েস ও মান্নান সিকদার পক্ষের মধ্যে দ্ব›েদ্ব মঙ্গলবার কায়েসের পক্ষের রায়হান ফকির খুন হয়। এর জেরে কায়েস পক্ষের লোকজন তাদের বাড়িঘরে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট চালানো ছাড়াও আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ১৫টি পরিবারের বসতঘর, গোয়াল, রান্নাঘরসহ অন্তত ২৫টি ঘরবাড়ি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নারকীয় হামলায় সাজানো গোছানো এক একটি সংসার ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে সহায় সম্বল লুটে নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় এলাকার মানুষ মাঝে চরম আতঙ্ক উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। ভ‚ক্তভোগীরা তাদের বাড়িঘরে বর্বর হামলা, অগ্নিসংযোগের বিচার দাবি করছেন। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন পিপি এম বার বলেন,নানা প্রতিকুলতার মাঝেও উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সচেষ্ট রয়েছি,ওখানে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।