নড়াইল প্রতিনিধি ঃ
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের হিসাব রক্ষক জাহানারা খাতুন লাকী’র বিরূদ্ধে দূর্নীতি অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, হিসাব রক্ষক জাহানারা খাতুন লাকী হাতপাতালের ইউজার ফিস এর টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। যার পরিমান ৭০ লক্ষাধিক টাকা। ইউজার ফিস অর্থাৎ রোগিদের নিকট টিকিট বিক্রি ও বিভিন্ন পরীক্ষা বাবদ আদায়কৃত টাকা আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের নিরব ভুমিকা নিয়ে সর্ব মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্ষন্ত ইউজার ফিস’র কোন টাকা জমা দেয়া হয়নি। অথচ ভুয়া বিল ভাউচার ও চালান কপি হাসপাতালে জমা দিয়েছেন। মাসের পর মাস টাকা জমা না দিয়ে নিজের আখের গুছিয়েছেন। হাতপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গত ৫ এপ্রিল ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ মার্চ পর্ষন্ত কোন টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি। নীতিমালায় রয়েছে প্রতি মাসের টাকা পরের মাসের ১ম সপ্তাহে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা করতে হবে। কিন্তু অফিস সহকারী জাহানারা খাতুন লাকী আদায়কৃত টাকা জমা দেননি। এ বিষয়ে জাহানারা খাতুন লাকী’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুশিউর রহমান বাবু বলেন, টাকা ফেরত দেয়ার জন্য জাহানারা খাতুন লাকীকে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তার বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবদুস শাকুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন হিসাব রক্ষক ব্যাংকে টাকা জমা দেননা। এরপর তাকে টাকা জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
Please follow and like us: