মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী তিনবন্ধু প্রবীর কুমার বর্মন হারু, নির্মল কর্মকার তিব্বল ও অশোক কুমার পালকে উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ সম্মাননা প্রদান
স্টাফ রিপোর্টারঃ বর্নাঢ্য আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় নাটোরের গুরুদাসপুরে পালিত হলো ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনি,মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের সালাম ও ডিসপ্লে প্রদর্শন,মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, ক্রিড়ানুষ্টানের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়। তবে অনুষ্টানে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা তিনবন্ধু তিনবন্ধু প্রবীর কুমার বর্মন হারু, নির্মল কর্মকার তিব্বল ও অশোক কুমার পালকে সম্মানিত স্থানে আসন গ্রহন করানো ও তাদের স্ক্রেষ্ট প্রদান করে সম্মানিত করা। উপজেলা প্রশাসনের জানানো সম্মানে আনন্দিত ও আবেগাপ্লুত নির্মল কর্মকার তিব্বল জানান,আমাদের তিন বন্ধুকে উপজেলা প্রশাসন যে সম্মানে সম্মানিত করেছে তাতে আমরা সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও মেয়র শাহনেওয়াজ আলীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেন জানান,মহান বিজয় দিবসের এই শুভক্ষনে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদকারী তিনবন্ধুকে সংবর্ধিত করতে পেরে প্রশাসনও আনন্দিত । ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যগর একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন। ওই দিনই “রক্তের বদলে রক্ত চাই, মুজিব হত্যার বিচার চাই” শ্লোগান সম্বলিত দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সেটে দেন তারা। একইসাথে তিনবন্ধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে শ্লোগান দিয়ে লিফলেট বিতরণ করতে থাকেন। এই অপরাধে তিনজনই পুলিশের হাতে ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ১৬(৩) এমএলআর+ ১০ জরুরী আইনে আটক হন। জেলখানায় নির্মম নির্যাতন করে এবং বিশেষ আইনে আটক করে তাদের নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল। তিন বন্ধুকে দুই বছর ডিটেনশন ও ছয় মাস সশ্রম কারাদন্ডও ভোগ করতে হয়। টানা ২৯ মাস কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে তারা মুক্তি পান।