কাকে ছুঁয়ে যাবে তুমি
—————————————————–
দেবদাস কর্মকার,
সাগর যখোন তোমার দু’পা ছুঁয়ে গেল তখোন ঢেউ কে দুরে যেতে বললে
পাহাড় যখোন তার শ্যামলীমা ও উচ্চতা দেখিয়ে কাছে ডাকলো,তখোন তুমি চোখ ফেরালে অন্যদিকে
আকাশ নিজের ঘন নীল মেঘাবৃত করে দিগন্ত ব্যাপী গম্ভীর স্বরে প্রতিধ্বনি তুলে হারিয়ে যেতে যেতে বলে গেল আমার অনেক উপরে ঈশ্বর ।
তুমি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে গভীর অন্ধকারে,
চাপ চাপ অন্ধকার,নেশা জাগানো শরীরের ঘ্রাণ, প্রেম, স্বপ্ন কুসুম
বিপুল সংসার চক্র, জীবনের অভিজ্ঞান,বৈভব,অস্থির গৌরব।
অরণ্যে পুরুষ বৃক্ষ,গ্লানিদগ্ধ প্রতিশ্রুতি, বিশ্বাস, ফুসফুস ভরে নিলে তুমি মহুয়ার গন্ধ
পুকুরের জলে পা ডুবিয়ে বার বার বৃথা চেষ্টা অংশু ঢেউ তোলার
রাত্রি দিনের গাঁথা মালায় জোনাকির আলো অন্ধকার, সময় গ্রন্থি, সহস্র নক্ষত্র পুঞ্জ, ছায়া পথ,ধূমকেতু, উন্মন মনের জীবন জিজ্ঞাসা ।
মৃত্তিকা ও নারী সতত শিকড় সঞ্চারি,উষর ভূমিতে ফলায় সে ফুল ও ফসল
অমরাবতী তুচ্ছ করে জঠরে ধারণ করে নক্ষত্র থেকে ছুটে আসা অমৃত সন্তান,
জয়িতা, সমস্ত পৃথিবীর সুখ ছাড়িয়ে জ্যোস্নায় ভেসে যাওয়া রাত্রির মতো পরিতৃপ্তি
তোমার অন্তর চাহনি শামুকের খোলস ভেদ করে বিস্তৃত বিশ্বব্যাপী ।
তারপর ও নিরস্ত্র বাসগৃহে কেউ নয় প্রেমিক পুরুষ দৈন্যতার অহংকারে কর্ষণ করে রাত্রির অন্ধকারে আষ্টেপৃষ্ঠে সোনালি সাপের মতো
অথচ নেশার মতো প্রেম ছিল একদিন, স্পন্দন স্বপ্ন, নিভৃত মৃত্তিকা রাধা,
কোন অদৃশ্য ধ্রুব লগ্নে শিকড়ে গেঁথেছে একটি কুহক কুন্ডল,বিতৃষ্ণা মগ্ন ঠোঁট তটরেখা,শৃঙ্খল।
তোমার সাগর দেখা হয়নি কোনোদিন অথচ বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুমি দয়ালু মেঘের সাথি হও
পাহাড়ের শ্যামল ছুঁয়ে ছুঁয়ে অঝোর শ্রাবণধারা তোমার চোখের বৃষ্টি কে মুছে দিয়ে যায়
আকাশের ঘন মেঘাবৃত নীল খুঁজে খুঁজে তুমি মেঘের গর্জন শোনো
এবার কাকে ছুঁয়ে যাবে তুমি সাগর পাহাড় না মেঘাবৃত করে যাওয়া আকাশের ও অনেক উর্ধোলোকের প্রেমময় ঈশ্বর ?
১০/০৫/২০২০
Please follow and like us: