নাটকটির নাম “সে”। অন্তরীপ প্রডাকশনের ব্যানারে আবার ও যৌথ ভাবে নাটক পরিচালনা করলেন অমিতাভ আহমেদ রানা ও সুব্রত মিত্র। সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শুটিং হয়। জহির করিমের রচনা ও চিত্রনাট্যে নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আব্দুর নূর সজল, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, নাবিলা ইসলাম ও রেশমী। আনোয়ার হোসেন বুলুর চিত্রগ্রহণে নাটকটি প্রযোজনা করছেন জহির করিম।
নাটকটির গল্পে দেখা যাবে রক্তিম আর চৈতীর বিয়ে হয়েছে কিছুদিন। দাম্পত্য জীবনে ওরা বেশ সুখী।কিন্তু গত তিন /চার দিন ধরে রক্তিম লক্ষ্য করে কেউ একজন ওদের দুজনকে অথবা ওদের বাড়িটাকে নজরে রেখেছে।
ব্যাপারটা নিয়ে রক্তিম চৈতীর সাথে আলোচনা করলেও ভেতরে ভেতরে খুবই চিন্তিত। যে লোকটা নজরে রেখেছে তাকে দেখতে ধান্দাবাজ টাইপের।
একদিন দুপুরে চৈতী বাসায় একা।হঠাৎ কলিং বেল বেজে ওঠে। চৈতী ক্লান্ত পায়ে এসে দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে সেই লোকটি ঘরে প্রবেশ করে।সে চৈতী কে নানা ভাবে ভয় দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে শারীরিক ভাবে আক্রমণ করলে চৈতী চিতকার শুরু করে। সে চৈতীর মুখ চেপে ধরে এবং চড়থাপ্পড় মারতে থাকে। তার কথা শুনে মনে হয় সে চৈতীর প্রাক্তন প্রেমিক। চৈতী তাকে ঠকিয়ে রক্তিমকে বিয়ে করেছে।
অন্য দিকে রক্তিম অফিস থেকে কোন ভাবেই চৈতীর সাথে যোগাযোগ করতে পারছেনা।ল্যান্ডফোন,মোবাইল সবাই বন্ধ পায়।অস্থির হয়ে সে অফিস থেকে বেরিয়ে আসে। দ্রুত বাসায় এসে সে অনবরত কলিং বেল চাপে, ধরজা ধাক্কায়, কিন্তু কেউ দরজা খোলেনা।এক সময় সে অন্যদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ফেলে। ভেতরে প্রবেশ করে রক্তিম চমকে উঠে। এ রকম টানটান উত্তেজনা নিয়ে গল্পটি সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।