বিশ্বাস
– স্নিগ্ধা সরকার
আহ!কতো বিশ্বাস করে ধরেছিলাম হাত,
বিশ্বাসকে গ্ৰাস করেছিল তখন অন্ধকার রাত
অতি ধীরে চুপিসারে চোখ ঢাকলো আবার তার হাত
কানে কানে বললো, একটু পরেই উঠবে চাঁদ।।
আগে ভাবতাম বিশ্বাস বুঝি কোন মিঠেফল
ফললেই স্বাদে জিভে এসে যাবে জল,
কিন্তু আজ আমি জানি, বিশ্বাস হলো বিষ ফল
কোয়ায় কোয়ায় আছে নীল বিষাক্ত গরল।।
ভেবেছিলাম সমুদ্র বিলাস করবো হাতে রেখে হাত
তোমার পৌরুষত্ব আমার অহংকার কে করবে যে আঘাত,
যে বিশ্বাসে তোমার কাঁধে রেখেছিলাম হাত,
আজ তুমি নিজেই তৈরি করলে অবিশ্বাসের বাঁধ।।
হে প্রিয়, তোমার ঘামের গন্ধে ভেবেছিলাম অস্তিত্ব খুঁজবো
অবশেষে সমুদ্রের ঠান্ডা আবহাওয়ায় দুজনই দেহ জুড়াবো।
কত না বিশ্বাস নিয়ে চোখ মেলেই তাকিয়েছিলাম সুদূরে
অতি কাছেই দৃষ্টি বাঁধা পরলো অবিশ্বাসের অন্ধকারে।।
মনে হচ্ছে একটু সময় নয় যেন বহু যুগ পরে
চোখের উপর বিশ্বাসের হাত সরে গেল ধিরে ,
আর কিছু না ভেবেই, অন্ধকারে পা বাড়ালাম সম্মুখ পানে
মোহ নয়, কিন্তু কি যেন এক বিশ্বাসের টানে ।।
যত দূরে চোখ যায় কোথাও পাই না খুঁজে বিশ্বাস,
বুক চিড়ে নেমে আসলো অবিশ্বাসের দীর্ঘশ্বাস।
হাজার যুগ পর আবার যখন আলোকে বুক জড়ালো ভূমি
সূর্য তখন অট্টহাসি হেসে বললো, এই মরুভূমিতে
কে গো নারী তুমি????????
Please follow and like us: