“পথশিশু”
-ফারহানা আশা
বছর খানেক আগে বসে ছিলেম রেল গেটে,
হঠাৎ তখন বুঝতে পেলুম পকেট যে মোর কাটে।
পেছন দিকে হাত বাড়িয়ে যেইনা দিলেম টান,
ছিটকে এসে পায়ের কাছে পরলো সে সটান।
আমি বললেম কিরে এমন কাজ করিস ক্যানে?
চোখে-মুখে ভয় নিয়ে চেয়ে ছিলো আমার পাণে।
মুখটা বড্ড মায়ায় ভরা, চোখের কোণে জল,
হাতটি ধরে তুলে বললেম আমার সাথে চল।
পা দুটি মোর জরিয়ে ধরে, কেঁদে হলো সে সারা
লআমি বললেম শক্ত হয়ে দেখি এাবার উঠে দাঁড়া।
কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে উঠলো,আমায় রেহায় দিন
এমন কাজ বেঁচে থাকতে করবোনা আর কোনদিন।
পথের শিশু মোরা কে দেবে মোদের ঠাঁই?
তাইতো মোরা পেটের দায়ে চুরির পথে যাই।
বড় বড় লোকজন দের বড় লেনদেন,
আমাদের দিকে ফিরে কেউ কি তাকাবেন?
কারও কাছে কিল-ঘুষি, কারও কাছে লাথি
সমাজের চোখে মোরা নই লাখ পতি।
ছেড়া আর কালি মাখা পোশাক মোদের পরা,
নামি-দামী লোকেদের পোশাক সোনায় মোড়া।
পথের শিশু মোরা পথের মাঝেই বাস,
সমাজের তরে মোদের নেই কোন পাস।
মোদের লাগি কারও পরাণ নাহি পুড়ে,
বড়-ছোট ভেদাভেদ আছে জগৎ জুঁড়ে।
তাইতো মোরা পথের শিশু,পথই মোদের ঠিকানা
পথে পথে বেড়াই ছুটে নেই যে কোন সীমানা।
Please follow and like us: