ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়কে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায়কালে ৭-জন গ্রেফতার
ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহ জেলা
প্রকাশঃ 2024-07-16 16:31:53 |
শেয়ার করুনঃ Facebook |
Twitter |
Whatsapp |
Linkedin ।
দেখা হয়েছে 214 বার।
-মুহম্মদ আবুল বাশারঃ সাম্প্রতিক সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজি।এই পণ্যবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।জনদুর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা দল তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পাইকারি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের চাঁদাবাজির তথ্য উদঘাটনের জন্য কাজ শুরু করে।এরই প্রেক্ষিতে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদনকারীদের নিকট হতে পণ্য সামগ্রী সংগ্রহপূর্বক ট্রাক/পণ্যবাহী যানবাহনে পাইকারী ও খুচরা বাজারে পৌঁছানোর সময় পথিমধ্যে নামে বে-নামে ভুয়া রশিদ অথবা কখনো কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদাবাজি করা হয়।এরই ধারাবাহিকতায়, অধিনায়ক র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের নির্দেশক্রমে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মুহাঃ জাহিদ হাসান এর নেতৃত্বে গত ১৪ জুলাই ২০২৪ রাত ১১ টা থেকে ১৫ জুলাই ২০২৪ রাত্রি ০১টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ এর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় ০৭ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।উদ্ধার করা হয় চাঁদা আদায়ের নগদ ২৭,৫১০/-টাকা, ০৫টি মোবাইল ফোন,০৪টি লাঠি এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানাধীন ময়মনসিংহ-জামালপুর-টাঙ্গাইলগামী মহাসড়কের মুক্তাগাছা বাজার এলাকা থেকে ০৬ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।গ্রেফতারকৃত মোঃ শাহিন খাঁন(৪০), পিতা-মোঃ শওকত মিয়া, সাং-নন্দীবাড়ী ৮নং ওয়ার্ড, মুক্তাগাছা পৌরসভা, মোঃ শফিকুল ইসলাম(৩০), পিতা-মোঃ চাঁন মিয়া, সাং-হাত পাকিয়া, ইউনিয়ন- মানকোন,মোঃ মাহবুবুর রহমান সোহাগ(৩৭), পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান, সাং-কুমারগাতা, ইউনিয়ন-কুমারগাতা, ৪। মোঃ জুলহাস(৪০), পিতা-মোঃ বশির মিয়া, সাং-পাড়াটঙ্গী, ৫নং ওয়ার্ড, মুক্তাগাছা পৌরসভা,মোঃ জুয়েল(৪৮), পিতা- মোঃ হাসান আলী,সাং-জয়দা, ইউনিয়ন- ভাসাটি,মোঃ কাইয়ুম(৩০), পিতা-মৃত আক্কাস আলী, সাং-লক্ষীখোলা, মুক্তাগাছা পৌরসভা, সকলের থানা-মুক্তাগাছা, জেলা-ময়মনসিংহদের নেতৃত্বে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা বাজার এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে। ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানাধীন শম্ভুগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ০১ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে । গ্রেফতারকৃত মোয়াজ্জেম হোসেন(৪০), পিতা-মৃত মিরাজ আলী, সাং-রঘুরামপুর, ৩০ নং ওয়ার্ড, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, থানা-কোতোয়ালি, জেলা-ময়মনসিংহ। গ্রেফতারকৃত মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এর নেতৃত্বে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ বাজার এলাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত চাঁদাবাজির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তারা ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। গ্রেফতারকৃতরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পণ্যবাহী যানবাহন ময়মনসিংহে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের নিকট অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে থাকে। ড্রাইভাররা তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের গাড়ি ভাংচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। তারা প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন হতে চাঁদা আদায় করে থাকে।উক্ত চক্রটি ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান হতে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের নিকট হতে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে মর্মে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে তাদের আশ্রয়দাতা, পৃষ্ঠপোষকতাকারী ও মদতদাতাদের তথ্য পাওয়া যায় এবং ভবিষ্যতে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।মাত্র দুই ঘন্টার অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ২৭,৫১০/- টাকা , ০৪টি লাঠি, ০৫টি মোবাইল ফোন ও বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদয়ের রশিদ উদ্ধারসহ ০৭জন শীর্ষ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের পূর্বক ময়মনসিংহের কোতোয়ালি ও মুক্তাগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।