মাগুরার মহম্মদপুরে গৃহবধূকে নির্যাতন, গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগ!
খুলনা বিভাগ
মাগুরা জেলা
প্রকাশঃ 2025-08-29 17:54:05 |
শেয়ার করুনঃ Facebook |
Twitter |
Whatsapp |
Linkedin ।
দেখা হয়েছে 84 বার।
মাগুরার মহম্মদপুরে গৃহবধূকে নির্যাতন, গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগ!
-মোঃ সাইফুল্লাহ // মাগুরার মহম্মদপুরে সামাজিক কোন্দলের জেরে বিথী (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারধরের ফলে গর্ভের ৪ মাসের সন্তান হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মান্দারবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত ২৫ আগস্ট সোমবার ভোর ৪ টার দিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর গর্ভপাত ঘটে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে গাইনি ও প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুধু ওই গৃহবধূই নয় এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী জামাল মিয়া ও জামাল মিয়ার ভাই কামাল মিয়া মারাত্মকভাবে আহত হন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী জামাল মিয়া বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূর স্বামী জামাল মিয়া জানান, সামাজিক দলাদলি ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার প্রতিপক্ষের হাসমত মিয়ার নেতৃত্বে ফরিদ শরীফ, ইমদাদুল ইসলাম, রিপন মিয়া, শাহজাহান মিয়া, কবির মিয়া, রাকিব, রওশন মিয়া, ছালেহ মিয়া, পারভেজ মিয়া, জাকির, জসিম, হুমায়ন, মোছা. ছবিরন, ইসরাফিল, শমজান মিয়াসহ অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জন অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমাকে, আমার স্ত্রী ও ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা, ছ্যানদা, চাপাতি, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে রাতের অন্ধকারে আমার বাড়ির উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ৪ মাসের গর্ভের সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্য মাজায় এবং পেটে আঘাত করে। শুধু তাই নয় তারা আমার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জামাল মিয়ার স্ত্রী বিথী জানান, তারা পরিকল্পিতভাবে আমার গর্ভের সন্তান হত্যা করেছে। যারা আমার গর্ভের সন্তান হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মাগুরা ২৫০ সদর হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার শাহজাহান জানান, আমি এই রোগীকে সেকেন্ড স্টেপে পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে মাজায় এবং পেটে আঘাতের কারণেই ভ্রুণটি নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে ওই গৃহবধূর অবস্থা অনেকটাই আশঙ্কামুক্ত।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।